বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাহিত্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ কবি ও সমালোচক অভীককুমার দে’র ধারাবাহিক ভাববার বিষয়-পর্ব-৩ স্বাধীনতাও গোল্লা-ছুট-অভীককুমার দে

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাহিত্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ কবি ও সমালোচক অভীককুমার দে’র ধারাবাহিক ভাববার বিষয়-পর্ব-৩ স্বাধীনতাও গোল্লা-ছুট-অভীককুমার দে

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাহিত্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ কবি ও সমালোচক অভীককুমার দে’র ধারাবাহিক
ভাববার বিষয়-পর্ব-৩
স্বাধীনতাও গোল্লা-ছুট
অভীককুমার দে

গোমতী জেলার নেহেরু যুব কেন্দ্র অফিস। ছাদে দাঁড়িয়েই নীলার গালে চুমু দিয়েছে সূর্য। তারপর ভারতের পাঁচিল টপকে নেমে গেছে সবুজ গাছের পিঠ বেয়ে। নীলার গাল থেকে লাজুক লালচে আভা ছাদ বেয়ে নেমে আসছে অফিস চত্ত্বরে, ঘাসের ডগায়। কিছুক্ষণ পর নীলার মুখে ভেসে উঠলো বিয়োগ ব্যথা। গালের সব লাল আভা মুছে কালো মেঘ জমেছে। মেঘের ওপারে চাঁদের বাড়ি আর তারার লুকোচুরি। কিছুই ভালো লাগে না নীলার। অফিস ছাদের কাছাকাছি এখন কুয়াশার ভিড়। চত্বরের হাসিও মুছে যাচ্ছে।
বিভিন্ন ক্লাব থেকে প্রায় দশ পনেরজন মনোনীত ছেলে মেয়ে অফিস চত্বরে একত্রিত হলো। দুটো গাড়ি এসেছে একসাথে। যে যার মতো উঠে বসলো গাড়িতে। মেলাঘর এডভেঞ্চার ইনস্টিটিউটের উদ্দেশ্যে রওনা হল যুবভর্তি গাড়ি। দিনের শেষ আলো প্রায় ফুরিয়ে এসেছে এখন। দেখে মনে হয়, গাড়ি আর দিনের আলো গোল্লাছুট খেলছে। আজকের মতো শেষ দৌড়। কেননা, সূর্যটাও ওদিকেই গেছে।
এডভেঞ্চার ইনস্টিটিউটের মাঠে গাড়ি এসে থামলো। সামান্য দূরে সীমান্ত কাঁটাতার, কালো নদীর মতো। এঁকে বেঁকে হারিয়ে গেছে অন্ধকারে। দুদিকের মাটি যেন ডেকে বলছে- একটি স্বাধীন দিনের জন্য লড়তে লড়তেলড়তে হারিয়ে যায় সূর্য। এই কালো নদী, অরূপ সন্ধ্যা, কুয়াশাবিলাপ সব তারই প্রতিফলন। স্বাধীনতার নামে নিরাপত্তাহীন অন্ধকার। মুক্তির জন্য আবার লড়াই। আবার সূর্য উঠবে। হাজার হাজার সূর্যের কিরণ জমা হয়ে যেমন একটি একাত্তর। ইনস্টিটিউটের দে’য়াল, মাঠ এখনও সেই সব স্মৃতিচারণেই মগ্ন।
গাড়ি থেকে নেমে যে যার মতো ঘুরে দেখছে এদিক ওদিক। এক অদ্ভুত নীরবতা মেলাঘরের এই এলাকায়। এখানকার সবকিছুই বুঝতে পারে স্বাধীনতাও গোল্লা- ছুট।

শেয়ার করুন ..

Comments are closed.




© All rights reserved © পাতা প্রকাশ
Developed by : IT incharge