বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

বেগম রোকেয়ার অসাম্প্রদায়িক ও সাম্য চেতনা -প্রফেসর মোহাম্মদ শাহ আলম

বেগম রোকেয়ার অসাম্প্রদায়িক ও সাম্য চেতনা -প্রফেসর মোহাম্মদ শাহ আলম

বেগম রোকেয়ার অসাম্প্রদায়িক ও সাম্য চেতনা
প্রফেসর মোহাম্মদ শাহ আলম

‘নানান বরণ গাভীরে ভাই একই বরণ দুধ
জগৎ ভরমিয়া দেখলাম একই মায়ের পুতÑ’
লোককবির যে অনুভব তার সাথে সহমত পোষণ করে বলা যায়Ñসাম্য-মৈত্রী, অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ বাংলাদেশ। তবুও নানা কারণে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষাক্ত ছোবল সংকট ঘণীভূত করেছে। কিন্তু স্বাদেশিক প্রীতির প্রাবল্যে ভেসে গেছে তাদের অপপ্রয়াস।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামের মতো বেগম রোকেয়া সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ নিবেদিত ছিলেন। একই চৈতন্যে বিবেদিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রবীন্দ্রনাথ ঐক্যের দিক উপস্থাপন করতে সব ধর্মের, জাতের মিলনের প্রসঙ্গ এনেছেনÑ
‘অহরহ তব আহ্বান প্রচারিত, শুনি তব উদার বাণী,
হিন্দু বৌদ্ধ শিখ জৈন পরসিক মুসলমান খৃষ্টানী
পুরব পশ্চিম আসে তব সিংহাসন পাশে,
প্রেমহার হয় গাঁথা।’
কাজী নজরুলের সাম্যকথা Ñ
‘গাহি সাম্যের গান
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান
যেখানে মিশেছে হিন্দুু-বৌদ্ধ-মুসলিম ক্রীশ্চান
গাহি সাম্যে গান।’
বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী, নানা ধর্মাবলম্বী ,সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে প্রীতি ,সৌহার্দ্য আর সৌভ্রাতৃত্বের যে ভাব তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সুলতানি,মোঘল যুগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির স্নিগ্ধ বাতাস বহমান ছিল বাংলায়। বিভাজনের সুত্রপাত ইংরেজদের স্বার্থসিদ্ধির কারণে। ১৯০৫এ বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে সে বিভাজন তীব্রতর হয়। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রাণ যায় অগণিত মানুষের। পাকিস্তানী শাসকরাও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে সম্প্রীতির বাগান বিবর্ণ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রত্যাশা করেছেন ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে সাধ্যমত কাজও করেছেন। কিন্তু পাকিস্তনীদের দোসররা এখনও এ দেশের সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে সুমহান ঐতিহ্য তা বিনষ্ট করারয় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

অথচ কবি চণ্ডীদাস সাম্য চিন্তায় বলেছেনÑ
..শুন হে মানুষ ভাই
সবার উপর মানুষ সত্য
তাহার উপর নাই॥
প্রগতি ও উন্নয়নের পূর্বশর্ত সামাজিক সম্প্রীতি ও সাম্য। বেগম রোকেয়া নারীদের ভাগ্যান্নোয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার কঠিন পথ অতিক্রম করতে গিয়ে উপলব্ধি করেছিলেন সামাজিক সম্প্রীতি ছাড়া নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই বেগম রোকেয়ার পথ ছিল মিলনের,ঐক্যের, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির।
বলা যায় রোকেয়া সার্বিক অর্থেই অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক ও বাহক। পর্দা সম্পর্কে তার কথা ও আচরণে স্ববিরোধীতা দৃষ্টি এড়ায় না। কিন্তু সামাজিক সাম্যে তিনি বিরোধহীন, দ্বিধাহীন, কুণ্ঠাহীন। নিজ ধর্ম ইসলামের প্রতি গভীর অনুরাগ, পশ্চাৎপদ মুসলমানদের অগ্রগামিতা তাঁর একান্ত চাওয়া ছিল। সে প্রত্যাশা থেকেই পিছিয়ে পড়া মুসলামানদের জন্য অন্তরে সঞ্চারিত ছিল বিশেষ দরদ ও কর্তব্যবোধ। তা বলে অন্য ধর্মের, সম্প্রদায়ের বা বর্ণ-গোত্রের প্রতি বিদ্বেষ ছিল না সামান্যতম।
বেগম রোকেয়া মুসলিম নারীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার। শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি আর দুঃখ, দুর্দশার হাত থেকে বাঁচাবার প্রত্যয়ে নিবেদিত রেখেছেন নিজেকে। এ ক্ষেত্রেও রোকেয়া উদারতার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টিকারক। নারী বলতে শুধু মুসলমান নারী নয় জাতি,ধর্ম নির্বিশেষে সব নারীর মু্িক্তই ছিল তাঁর আরধ্য। তা বিশ্বের যে দেশ বা যে প্রান্তের নারী হোক না কেন। ভারতীয় নারীদের দুর্বিষহ জীবনের কথা উপস্থাপন করতে গিয়ে হিন্দু-মুসলমান দু সম্প্রদায়ের নারীদের বেদনাঘেরা জীবন যাপনের চিত্র এঁকেছেন। বেগম রোকেয়ার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সাম্য চেতনার প্রোজ্জ্বল উদাহরণ পদ্মরাগ উপন্যাস, সুগৃহিণী, গৃহ, অর্দ্ধাঙ্গী প্রবন্ধসহ অন্যান্য লেকায়।
পদ্মরাগ উপন্যাসে তাঁর কল্পিত তারিণী ভবন অসাম্প্রদায়িক ও সাম্য ভাবনার অনন্য আবাসস্থল। বিভেদের কোনো রেখা নেই এখানে। সবাই মিলে-মিশে একাকার। ঠিক নজরুলের ভাবনাÑএকই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান। পদ্মরাগ এ মুসলমান সিদ্দিকা আর হিন্দু সৌদামিনীর প্রতি অত্যাচার, নিগ্রহের বৃত্তান্ত সমান দরদ দিয়ে বিবরিত করেছেন বেগম রোকেয়া। তবে হিন্দু মুসলমানই নয়, অন্য ধর্মের নারীরাও এ তানিণী ভবনের বাসিন্দা। রোকেয়ার ভাষ্যÑ
‘কি সুন্দর সাম্য! Ñমুসলমান, হিন্দু, ব্রাহ্ম, খ্রীষ্টান, সকলে যেন এক মাতৃ-গর্ভজাতা সহোদরার ন্যায় মিলিয়া মিশিয়া কার্য করিতেছে।’
রোকেয়া মুসলমান বালিকাদের ‘স্থানীয় ভাষা’য় কোরান শিক্ষার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং বলেছেন প্রাথমিক শিক্ষার সাথে যেনো তারা এ শিক্ষা গ্রহণ করে। এতে অনেকেই তাকে ভুল বোঝেন। রোকেয়া সে সম্পর্কে বলেছেনÑ
আমার মুসলমান ভগিনীগণ! আপনারা কেহ মনে করিবেন না যে, প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে কোরান শিক্ষা দিতে বলিয়া আমি গোঁড়ামীর পরিচয় দিলাম। তাহা নহে, আমি গোঁড়ামী হইতে বহুদূরে।’
গোঁড়ামী থেকে দূরে জন্যই তারিণী ভবনে রাফিয়া ও কোরেশাকে খুব সহজেই তারিণীর ব্যবহৃত শতরঞ্জির উপর নামাজ পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন।
মুসলিম নারীদের জাগরণে যেমন তেমনি হিন্দু নারীদেরকেও বোন হিসেবে দেখতেন। রোকেয়ার অনুভবÑ
‘সুখের বিষয়, এতকাল পরে ‘শ্রীকৃষ্ণ’ স্বয়ং আমার হিন্দু ভগিনীদের প্রতি কৃপাকটাক্ষপাত করিয়াছেন। তাই চারিদিকে হিন্দু সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অবরোধÑবন্দিনী মহিলাদের মধ্যে জাগরণের সাড়া পড়িয়া গিয়াছে।’
প্দ্মরাগ উপন্যাসে তারিণী বিদ্যালয় নিয়ে সমালোচনাতেও প্রকারান্তরে সাম্য চিত্রÑ‘তারিণী আর লোক পাইবে কোথায়? কোন ভদ্র ঘরের বউ-ঝি তাহার নিকট যাইবে? দেশের যত পতিতা স্ত্রীলোক, যত কুষ্ঠরোগী, যত সব নগণ্য অনাথ শিশুÑ তাদের লইয়াই ত তারিণীর সংসার!!’
প্রতিবেশীর পরিধি যেনো বৃহৎ হয় এবং সবার সাথে আত্মিক সম্পর্ক বিরাজিত থাকে এমনটাই বেগম রোকেয়ার প্রত্যাশা। সুগৃহিণী প্রবন্ধে তাঁর মতÑ‘বঙ্গদেশের প্রতিবেশী বলিতে পাঞ্জাব, অযোধ্যা, উড়িষ্যাÑএসবই যেন বুঝায়। ..আর স্মরণ রাখিতে হহইবে, আমরা শুধু হিন্দু বা মুসলমান কিম্বা পরসী বা খ্রীষ্টিয়ান অথবা বাঙ্গালী, মাদ্রাজী, মাড়ওয়ারী বা পাঞ্জাবী নহিÑ আমরা ভারতবাসী।’
জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে রেকেয়ার ধারণা খুবই স্পষ্ট। সুগৃহিণী প্রবন্ধে জাতীয়তার প্রসঙ্গে বলেছেনÑ‘আমরা সর্বপ্রথম ভারতবাসীÑতারপর মুসলমান, শিখ বা বা আর কিছু।’
‘গৃহ’ প্রবন্ধেও রোকেয়া সহায়, সম্পত্তি, অসুখ-বিসুখ নিয়ে হিন্দু মুসলমান সব নারীই যে সমান ভুক্তভোগী ব্যক্ত করেছেন সে প্রসঙ্গ। তার বর্ণনায় রাণী, রমা, হামিদা, সৌদামিনী, জোবেদা সবাই সামাজিক নানা করাণে গৃহসুখ বঞ্চিত। খ্রীষ্টিয়ান সমাজে নারী শিক্ষা প্রচলিত কিন্তু তারাও ষোলআনা নিজ স্বত্ব ভোগের অধিকারী ছিলনা।
ডেলিশিয়া হত্যাÑ রচনায় ইংল্যান্ডের সমাজেও দাম্পত্য ও সামাজিক জীবনে নারী যে অসুখী ছিল সে দিকের সাথে মজলুমা চরিত্রের মাধ্যমে ভারতের নারীদের পীড়ন হতাশা ও ভগ্ন হৃদয়ের সমতার দিক উপস্থাপন করেছেন বেগম রোকেয়া।

অর্দ্ধাঙ্গী প্রবন্ধে রোকেয়ার অভিমতÑ ‘খ্রীষ্টিয়ানসমাজে যদিও স্ত্রীশিক্ষার যথেষ্ট সুবিধা আছে , তবু রমণী আপন স্বত্ব ষোল আরা ভোগ করিতে পারে না। তাহাদের মন দাসত্ব হইতে মুক্তি পায় না।’
উদারহরণ হিসেবে সীতা চরিত্র এনেছেন বেগম রোকেয়া। নারীকে শিক্ষা দিতে সীতার আদর্শ অনুসরণের প্রসঙ্গ উলে¬খ করা হয়। এ বিষয়ে তার বোধ তুলে ধরেছেন।
বিপ¬বী আান্দোলনে বিশ্বাসঘাতক নরেন গোঁসইকে হত্যা করেন বিপ¬বী কানাইলাল দত্ত। তাঁর ফাঁসির আদেশ হলে বেদনাবিদ্ধ চিত্তে ‘নিরূপম বীর’ নামে একটি কবিতা রচনা করেন রোকেয়া।
‘যত কৃতঘ্ন হোক সংসার
তবু এ কানাই স্মৃতি
ভারত হৃদয়ে স্বর্ণাক্ষরে
জাগরূক র‘বে নিতি!
বীর সন্তান জাগিয়া প্রভাতে
স্মরিবে কানাই নাম,..’
একজন দেশপ্রেমিক হিন্দু বীরকে নিয়ে কবিতা লেখার যে ঘটনা তা রোকেয়ার সম্প্রদায় নির্বিশেষ চেতনার বহিঃপ্রকাশ।
বেগম রোকেয়া যেমন ধর্মীয় বোধে সম্প্রীতির কথা বলেছেন তেমনি নারী-পুরুষের সম অধিকার, সমক্ষমতায়নের দিকটিতে বিপুল আলো ফেলেছেন। পুরুষদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার নয় তাদের সহযোগিতা সর্বদা প্রত্যাশিত ছিল তাঁর। সেজন্যই সমাজ-সাম্য প্রতিষ্ঠার সহায়ক হতে পুরুষদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
Ñ ‘মুসলমান যুবকবৃন্দের নিকট এই অনুরোধ যে, সমাজে যাতে শিক্ষার বিস্তার হয়,এবং স্ত্রীলোকগণ যাহাতে সুশিক্ষা হইতে বঞ্চিত না হয়, তাহারই জন্য যেন তাহারা আপনাপন শক্তি সর্বতোভাবে নিয়োজিত করেন।’
সামজিক সাম্যের জন্যই পুরুষ ও নারীর মজুরী বৈষ্যম্য বিদূরিত করার দাবী উপস্থাপন করেছেন রোকেয়া। ‘স্ত্রীজাতির অবনতি’ প্রবন্ধে নারী-পুরুষের শ্রমে পারিশ্রমিকের যে বৈষম্য তা উপস্থাপন করেছেন। তাঁর উপলব্ধিÑ‘কার্যক্ষেত্রেও পুরুষের পরিশ্রমের মূল্য বেশি, নারীর কাজ সস্তায় বিক্রয় হয়। নিম্ন শ্রেণির পুরুষ যে কাজ করিলে মাসে ২ বেতন পায়, ঠিক সেই কাজে স্ত্রীলোকে ১ পায়। চাকরের খোরাকী মাসিক ৩ আর চাকরাণীর খোরাকি ২।’ এমন অভিমত থেকে এ সত্য স্পষ্ট যে এ জন্য একই শ্রমে পুরুষদের সমান পারিশ্রমিক নারীদেরকেও প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন বেগম রোকেয়া। পাটকলের কর্মচারীরা বেতন পেয়ে নবাবী হালে চলে, আর যারা পাট উৎপাদনকারী সে চাষারÑ‘পাছায় জোটে না ত্যানা!’ চাষার দুক্ষু প্রবন্ধে বেগম রোকেয়ার প্রশ্নÑ‘আমাদের বঙ্গভূমি সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা, তবু চাষার উদরে অন্ন নাই কেন? সব স্তরের মানুষের সাম্য ও অধিকার চিন্তা থেকে এমন কথা বলেছেন বেগম রোকেয়া। পারিবারিক সৌহার্দ্যও একান্তভাবে কামনা করেছেন বিভিন্ন লেখায়, বক্তব্যে।
মূলত আর্থ-সামাজিক, রাষ্ট্রিক, ধর্মীয়, পারস্পারিক সম্প্রীতির বাতাবরণ সৃজনে অনন্য অবদান রেখেছেন বেগম রোকেয়া। ভেদরেখা টেনে যারা স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টায় নিবেদিত তাদের সম্পর্কে সচেতনতা জাগে তাঁর সাহিত্যকর্ম পাঠে। সময়ের ব্যবধান যতই হোক সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সব য়ড়যন্ত্র রুখে দিতে বেগম রোকেয়ার সাম্য চেতনাকে প্রধান্য দিতে হবে। তা হলেই বর্তমান প্রজন্ম এবং আগামীম প্রজন্ম শুভ ও কল্যাণের দীপ্তিতে ভাস্বরতা লাভ করবে। আসলে সহজ সত্য হলো নিজেদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে জাতি, ধর্ম, বর্ণগোত্র নির্বিশেষে ঐক্যের সুতোয় বাঁধা পড়তেই হবে।

[লেখক: বিশিষ্ট সাহিত্যিক, ভূতপূর্ব অধ্যাপক, বাংলা কারমাইকেল কলেজ,রংপুর]
তথ্য সহায়তা:
*রোকেয়া রচনাবলীÑবাংলা একাডেমিÑ ঢাকা।
*বেগম রোকেয়া সময় ও সাহিত্যÑমোরশেদ শফিউল হাসানÑমাওলা ব্রাদার্স,ঢাকা।
*বেগম রোকেয়ার দর্শন ও শতবর্ষের নারী অধিকার আন্দোলনÑ নিখিল চন্দ্র বর্মন ও রুমানা ফেরদৌসী জলীলÑড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

  • বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, স্মরণিকা।

শেয়ার করুন ..

Comments are closed.




© All rights reserved © পাতা প্রকাশ
Developed by : IT incharge