বাবার জন্য…
শামসুজ্জামান সোহাগ
সেই ছোট বেলা হতে ভয় পাই বাবাকে।
বাবা অফিস হতে আসার আগেই ভদ্র ছেলের মত ঘরে বসে থাকতাম আমরা তিন ভাইবোন । তারপর সবাই মিলে একসাথে খেতে বসতাম।আব্বুর অফিস হতে ফিরতে দেরি হলেও তার অপেক্ষায় থাকতাম একসাথে খাবো বলে।যে সব আবদার ছিল তা মাকে জানাতাম মাই সব আবদার বাবাকে বলে মেটাতেন। যদিও আমাদের বাবা ছোট একটা সরকারি চাকরি করতেন তার সৎ উপার্জন দিয়েই আমাদের সংসার। সেরকম চাহিদা ছিলনা আমাদের।তবে আমাদের বাবা অনেক কষ্ট করেছেন আমাদের জন্য। কষ্ট কি জিনিস তা আমাদের বুঝতে দেইনি।যা যা করেছেন সব আব্বুর অবদান।
প্রায় এগার বছর হলো আব্বুর চাকুরি হতে অবসর হওয়ার। সে সময় হতেই আব্বু না রোগে আক্রান্ত। এর মাঝেই দুইবার স্ট্রোক করেন আব্বু।তার চলাফেরা এখন অস্বাভাবিক এবং শয্যাশায়ী। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে আব্বুর সেবা যত্ন করে যাচ্ছি। তাকে নিয়মিত দেখাশোনা করছি।
তার চলাফেরা অস্বাভাবিক হওয়ায় সে শিশুর মতো হয়ে গেছে এখন, কখন কাকে কি বলবে, কি বলা দরকার সব যেন এলোমেলো। তবে কষ্ট লাগে যে সে আমাদের তিন ভাইবোনেরই নাম ভুলে গেছে তবু তা মেনে নিয়েই চলছি আমরা।আব্বুর শারিরীক কষ্ট গুলো মেনে নিতে পারিনা।যখন তার শারীরিক সমস্যা গুলো বেশি হয় আমি তখন কাঁদি।আমি আমরা তার কষ্ট গুলো মেনে নিতে পারিনা।নামাজ আদায় করে তার জন্য দোয়া কামনা করি।জানি পৃথিবীতে কেউ ক্ষণস্থায়ী নয় সবাইকে যেতে হবে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে।
তবু রাব্বুল আলামীনের কাছে প্রর্থনা
আপনি যতদিন তার হেয়াত রেখেছেন এই পৃথিবীতে, তাকে সুস্থ রাখুন আর কষ্ট দিয়েন না আব্বুকে।