বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন

বাঙ্গালীর সকল আবেগ ও অনুভূতিতে রবীন্দ্রনাথ-কাজী মো. জুননুন

বাঙ্গালীর সকল আবেগ ও অনুভূতিতে রবীন্দ্রনাথ-কাজী মো. জুননুন

বাঙ্গালীর সকল আবেগ ও অনুভূতিতে রবীন্দ্রনাথ
কাজী মো. জুননুন

যদি বাংলাভাষা টিকে থাকে তাহলে রবীন্দ্রনাথও টিকে থাকবেন। রবীন্দ্রনাথ চিরকালীন জীবনের বিভিন্ন বাঁকে তিনি নিজেকে বদলেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অতিক্রম করা যায় না। সমুদ্রকে কিংবা হিমালয়কে দেখলে যেমন হঠাৎ বুকে ধাক্কা লাগে, রবীন্দ্রনাথের বেলায়ও আমার অভিজ্ঞতাটা সেরকম। কবিতা কিংবা গল্প নিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে তেমন উচ্চকন্ঠে কিছু না বল্লেও নিজের লেখা গানের ব্যাপারে জোর নিয়েই বলেছিলেন, ‘আমার গান তোমাদের গাইতে হবে’। দেশে দেশে কবির এই কথার প্রমান মিলেছে যুগে যুগে। নানা ভাষায় নানা সংস্কৃতিতে বিচিত্র আঙ্গিকে রবীন্দ্র সংগীতের উপস্থিতি লক্ষণীয়।
বাঙ্গালি আর বাংলা সংস্কৃতির পরিচয় দিতে গেলে অগ্রগণ্য হিসেবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম আসবেই। সমগ্র সৃষ্টিসম্ভারের মধ্যে তাঁর গান সারা বিশ্বর বাঙ্গালিদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে চলেছে।
রবীন্দ্রনাথের ভাষায় দেশ চেনা মানে দেশের মানুষকে চেনা। আর এই দেশের মানুষ হচ্ছে দরিদ্র বঞ্চিত ও শোষিত মানুষ। এসব বঞ্চিত মানুষকে ভালোবাসার চেতনা থেকেই দেশ প্রেমের চেতনা ফুটে ওঠে। কবিগুরু নানা রকম সুর, ছন্দ, রূপ, রস ও বৈচিত্র্যকে আশ্রয় করে গান রচনা করেছেন।
যুগের পর যুগ রবীন্দ্র সংগীত কে নতুন প্রজন্মই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । যদিও বর্তমান সময়ে তারা রবীন্দ সংগীত পরিবেশনার সঙ্গে পরিবর্তন আনছেÑ আমি এটাকে ইতিবাচক মনে করি এই জন্য যে, এরফলে মানুষের কাছে রবীন্দ্র সংগীত পৌছাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ আমাদের চিন্তা চেতনায় নানাভাবে মিশে আছেন।
পৃথিবী যতদিন থাকবে রবীন্দ্রনাথও তাঁর সৃষ্টি ও কর্মের জন্য বেঁচে থাকবেন। যাঁকে ঘিরে আমাদের সমগ্র চিন্তাÑচেতনা ও সংস্কৃতির বিকাশ, তিনি আর কেউ নন, তিনিই হচ্ছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ চিত্রকলায়ও ছিলেন অনন্য।
আজও রবীন্দ্রনাথের দেশজ প্রয়োজন, রাজনৈতিক প্রয়োজন, সমসাময়িক প্রয়োজন আছে। তবে তারও উপরে যেটি প্রয়োজন, সেটি হলো রবীন্দ্রনাথকে আরও ভালো করে জানা, তাঁকে অন্তরে ঠাঁই দেয়া, রবীন্দ্র দর্শনে নিজেদের উজ্জীবিত করা।
আমার জীবনে বিশ্বকবি বা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বা রবীন্দ্র সংগীতের যে বিস্তৃত প্রভাব তা আমি কখনও ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা। অনেক কিছু ভালোভাবে বুঝে ওঠার আগে থেকেই রবীন্দ্র সংগীত মিশে গেছে আমার ভিতরে। রবীন্দ্র সংগীত যে আমার অনুভূতিতেই বেজে চলে তা আমার বাঙ্গালীর অনুভূতি, চেতনায়, সকল আবেগ ও উপলদ্ধিতিতে রবীন্দ্র সংগীতের বানীগুলি প্রভাব ফেলে চলছে প্রতিনিয়ত। ওনার প্রেম, প্রকৃতি, পূজা, বিচিত্র পর্যায়ের গানগুলি শুনে মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, উনি বুঝি আমাদের বুকের গভীরে বসে বসেই লিখেছিলেন অনুভূতির বানীগুলি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সকল সৃষ্টিই অমুল্য কিন্তু গানগুলি যেন আমাদের প্রাণ বা প্রাণের সত্বা, বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা।

শেয়ার করুন ..

Comments are closed.




© All rights reserved © পাতা প্রকাশ
Developed by : IT incharge