প্রকাশক; মো.আব্দুল কাদের বাবু
বাবুই’ ২/২সি পুরানা পল্টন ঢাকা-১০০০.
কীর্তিমান মানুষেরা সময়ের অচলায়তন ভেংগে নিজেদের স্বাতন্ত্র্যবোধ থেকে নির্মাণ করেছেন অমর জীবন – আর অম্লান কর্মযোগের নানা উদাহরণ। সে ক্ষেত্রে যার যার যা অবদান তা কোনটি চিরকালীন কোনটি নিরবে অসীমের কাছে বিলীন হয়ে যায়। তবে সেই এক একটি অনন্য কাজ এক-একটি কর্মযোগের সমষ্টিগত ফলাফলইতো এই সমাজ-দেশ- মানচিত্র’এর নানা রঙ নানা উপহার। কত বিপুল সে ভান্ডার কি অপরুপ তার বৈভব। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিক সু-কর্মযোগ কারও নজরে পড়ে বেশিরভাগ উপেক্ষিত হয়ে যায়। সময়-স্থান-কাল পরিক্রমার সেই ব্যক্তিক/সমষ্টিগত কাজগুলোই হতে পারে গ্রন্থিত ইতিহাসের একটি মুল্যবান উপজীব্য বিষয়।
নিঃসংকোচ মুল্যায়নের নিরিখে এমন একটি মহতি উদ্যোগ নিবিষ্ট পরিশ্রম আন্তরিক ইচ্ছার প্রকাশ- লেখক-গবেষক-সাংবাদিক জগতের অন্যতম পথিক ‘রানা মাসুদ’এর আঞ্চলিক ইতিহাসমুলক জীবনীগ্রন্থ “আলোর দীপ” বইটি।
মৃত্যুর আগেই জীবিত কোন গুণীনকে নিয়ে এমন মুল্যায়িত কাজ খুব একটা লেখা হয় না। তাই গ্রন্থকার ‘রানা মাসুদের’ সৃষ্টিধর্মী এমন কাজ অবস্যই প্রসংশার দাবীদার। তাঁকে শুধু ধন্যবাদ দিয়ে দায় এড়ানো যায়না।
আলোচ্য গ্রন্থ ” আলোর দীপ ” বইটি বৃহত্তর রংপুর জেলার ৩৭ জন ব্যক্তিকে নিয়ে খুব সংক্ষেপে আলোকপাত করা হয়েছে। তাঁরা সবাই বিভিন্ন বয়সী বিদগ্ধজন ভিন্নভিন্ন অবস্থান/পেশায় তাঁদের নিজ নিজ কাজে অনেকের আস্থা/ভালোবাসা/শ্রদ্ধা অর্জন করতে পেরেছেন। লেখক বইটিতে আলোচিত ব্যক্তির জীবনী লিখতে গিয়ে প্রচলিত ধারায় না লিখে নিজস্ব ঢংয়ে সবার বর্ননা দিয়েছেন। গল্পের মতো করে তাঁদের উপস্থাপন করেছেন।সেটি বেশ উপভোগ্য এবং আগ্রহী পাঠকের ভালো লাগবে আনন্দ দেবে।
লেখক রানা মাসুদ এই শহরেরই একজন উদ্দীপ্ত যুবক।এই সময়ের এমন পরিনত বয়সী উপলব্ধি থেকে তিনি এ অঞ্চল/সমাজ/ইতিহাস/ঐতিহ্য নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই অনবরত লিখছেন প্রকাশ করছেন। একাজ খুব কষ্টের সময়ক্ষেপণ ও অবস্যই অর্থনৈতিক/সামাজিক/রাজনৈতিক পরিবেশে আলোচনা/সমালোচনা/প্রশংসা/কটাক্ষ-বানে জর্জরিত হবারমত দুরহ/সাহসী যাত্রা। এসব কিছু মাথায় রেখে সব বাঁধা/বিপত্তি উপেক্ষা করে লেখক অবিরাম এ কাজ করেই যাচ্ছেন। সত্যি এই গ্রন্থটি পড়ে/দেখে আমি/অনেকে অবাক হয়েছি।
সুগ্রন্থিত লেখায় সুন্দর প্রচ্ছদ বাঁধাই ভেতরের সৌষ্ঠব সব কিছু মিলিয়ে এমন গ্রন্থ-“আলোর দীপ” আঞ্চলিক আলেখ্যগাঁথা- ইতিহাসের আলোকে বিশেষ মর্যাদা পাবে নিশ্চিত।
১৬৬ পৃষ্ঠার এই বইটি লিখে রানা মাসুদ যে মুল্যবান কাজটি করলেন তার জন্য আমি তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানাই।
গ্রন্থটিতে আমার মত একজন নগন্য জনকেও স্থান দেয়া হয়েছে।আমি কুন্ঠিত বিব্রত। বিনায়াবত চিত্তে আলোচিত গ্রন্থে উদ্ধৃত সকল গুণীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ভালোবাসা। গ্রন্থ-লেখক লেখক-পরিবার প্রকাশক’সহ সংশ্লিষ্টদের সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ধন্যবাদ। এই গ্রন্থের বহুল পাঠ ও প্রচার কামনা করি। বই পড়ুন প্রিয়জনকে বই উপহার দিন।