বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন

ফ্লাশব্যাক-৫: Mr.Allen এবং আমি-১-মো. শওকত আলী

ফ্লাশব্যাক-৫: Mr.Allen এবং আমি-১-মো. শওকত আলী

ফ্লাশব্যাক-৫: Mr.Allen এবং আমি-১
মো. শওকত আলী

ভদ্রলোকের পুরো নাম মনে নেই। শুধু মনে আছে আমরা তাকে Mr.Allen বলে ডাকতাম।এটিও সেই ২০০১ সালের কথা। ব্যাংককে আমি তখন প্রশিক্ষণে।ভদ্রলোক সেখানে Expert Trainer হিসেবে ছিলেন।জাতিতে বৃটিশ। বয়স তখন আনুমানিক ষাটের মত।মাথায় অল্প আধাপাকা চুল থাকলেও দাঁড়িতে বেশ ভালো লাগতো তাকে।যাকে বলে একেবারে সৌমকান্ত চেহারা।
ভদ্রলোক প্রথম দিন একটা সেশন নিলেন।সেখানকার প্রথা ছিল সেশন শেষে প্রশিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে হবে। যে কাজটি অধিকাংশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে হয়ে থাকে।মূল্যায়ন পাতার নীচে স্বাক্ষর দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল না। ভদ্রলোকের প্রথম দিনের সেশন আমাকে তেমন আকৃষ্ট করতে পারলো না। আমি মন্তব্য করলাম, ‘Nothing Special’ ভাবলাম নাম তো নেই সুতরাং জানতে তো পারবে না কে লিখেছে? আমি তো আসলে আয়োডিনের অভাবের এলাকার মানুষ।চিন্তাভাবনায় সূক্ষ্ণতার ঘাটতি থাকে।যখন ফাইলে মনের মত প্যাঁচ মার্কা নোট পেতো না, তখন আমার এক বস আমাকে একথাটা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলতেন,” শুনুন, আপনার বাড়ি তো ঐ এলাকায়, মোটা বুদ্ধি আপনার।সেজন্য এভাবে নোট দিয়েছেন।” আমিও মেনে নিতাম ঐ অজুহাত। যাকগে যা’ বলছিলাম, Nothing Special মন্তব্য দিয়ে তো আমি চুপচাপ আছি।পরদিন দেখি ভদ্রলোক ক্লাস নিচ্ছেন আর আমার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছেন।তাকানোর মধ্যে এক ধরনের সন্দিগ্ধভাব আছে। আচমকা দেখি আমাকে অদ্ভুত ধরনের প্রশ্ন করে বসলেন। মানসিক প্রস্ত্ততি নিয়ে উত্তর দেবার আগেই বাঁকাভাবে কিছু একটা বললেন। দ্রুত কথা বললে প্রথমদিকে তো তার অর্ধেক কথাই বুঝতে পারতাম না ।
দ্বিতীয় দিনও একইভাবে গেল। কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না কী হয়েছে আমার সংগে? হঠাৎ মনে হলো ভদ্রলোক কি তাহলে হাজিরা তালিকার হাতের লেখা মিলিয়ে উদ্ধার করেছে ঐ অপ্রিয় মন্তব্যটা কার ? তৃতীয় দিনে এসে তিনি আমার job description জানতে চাইলেন। যখন বললাম তখন তিনি আমাদের প্রশাসনিক কাজের ধারা সম্পর্কে এমনসব মন্তব্য করলেন যেন আমাদের প্রশাসনিক কাজের ধারা, আইন, বিধি-বিধান সব পৃথিবীতে এক অদ্ভুত বিষয়! এধরনের বিষয় পৃথিবীর কোন প্রান্তে কোন কালে ছিল বলে তার জানা নেই। নিজেকে বেশ বিব্রত লাগছিল। কিন্তু মোক্ষম একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম তাকে সামলানোর জন্য। বললাম, তোমাদের দেশে এ ধরনের প্রশাসন ব্যবস্হা, আইন, বিধি -বিধান আছে কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু এই যে আমাদের যা নিয়ে তুমি কটাক্ষ করছ সেগুলো তো তোমাদের পূর্ব পুরুষদের তৈরি করা। অবশ্য তাদের উদ্দেশ্য ছিল যেহেতু শোষণ করা সেহেতু তাদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে আইন-কানুন, বিধি-বিধান এবং প্রশাসনিক ব্যবস্হা তারা চালু করেছিল। পরবর্তীতে আমরা পাকিস্তানীদের অধীনে ছিলাম। তাই তখনও পরিবর্তন হয়নি। এখন আমরা পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছি।
এই যে আমি এখানে প্রশিক্ষণে এসেছি, কিছু শিখে গিয়ে পরিবর্তনের জন্য ইতিবাচক কিছু অবদান যেন রাখতে পারি তেমন প্রত্যশায় । তোমার কাছে আমার প্রত্যাশার পারদটা অনেক উঁচুতে। কারন তুমি বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক। কিন্তু প্রথম দিন কিছুটা আশাহত ছিলাম। আশা করছি এখন থেকে আমার প্রত্যাশা ধীরে ধীরে মিটবে।ইতোমধ্যে নেপাল এবং শ্রীলংকার কর্মকর্তা দুজনও তাদের দেশেও আমাদের মতোই সিস্টেমের কথা জানালেন। অদ্ভুত একটা ব্যাপার ঘটলো সেদিন। সেশন শেষে বেরিয়ে যাবার সময় Mr.Allen আমাকে বললেন, Ali আজ চা বিরতিতে আমরা একসঙ্গে কফি খাবো।আমি সানন্দে রাজি হয়ে গেলাম। সেই থেকে তার সংগে আমার সম্পর্কের রসায়নটা গাঢ় হতে শুরু করলো।
যখন আমরা স্টাডি ট্যুরে লন্ডন গেলাম তখন Allen ছুটি কাটানোর জন্য তার বাড়িতে গেল।তার বাড়ি লন্ডন থেকে দু’ ঘন্টার মতো যাত্রা– Warwickshire এর কোথাও হবে। জায়গার নামটা মনে করতে পারছি না। যাবার সময় আমাকে বলে গেল এসময়ে উনার সংগে আমার দুদিন দেখা হবে।একদিন লন্ডনে তিনি আমাদের সঙ্গে ডিনারে যোগ দিবেন আর একদিন তিনি তার এলাকায় আমাদের নিয়ে যাবেন।তার এলাকার কাছাকাছি অফিসিয়াল একটা ভিজিট ছিল আমাদের। সে সুযোগে তিনি আমাদের ডিনারে আমন্ত্রণ জানাবেন।যেখানে ডিনারের ব্যবস্হা করবেন সেটি একটি শত বছরের বেশি পুরাতন রেস্তোরাঁ। তাছাড়া এলাকাটি শেক্সপিয়ারের জন্মস্হানের কাছাকাছি। এসব জেনে আমার মনের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা আর শিহরণবোধ শুরু করেছিল।
Allen আমাকে বিস্মিত করে আর একটা কথা বললেন। যেদিন লন্ডনে আমাদের সঙ্গে ডিনারে যোগ দিবেন সেদিন তিনি সকাল সকাল লন্ডন শহরে আসবেন।উদ্দেশ্য আমাকে নিয়ে লন্ডন শহর ঘুড়ে দেখানো।আমি শুনে খুবই প্রীত হলাম। বুঝে নিন আমাদের মধ্যে কতটা হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
যেদিন উনি এলেন সেদিন লন্ডন শহরের বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা দেখলাম।যেমন River Thames, Big Ben,Westminster(Houses Of Parliament) এমন আরও কিছু। Big Ben এর অবস্থান Westminster, London এ। এর একটা পোশাকি নাম আছে। আগে ছিল Clock Tower পরে ২০১২ সালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর হীরক জন্মজয়ন্তী পালনের স্মারক হিসেবে এটির Elizabeth Tower নামকরণ করা হয়। ইউকে তে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদযাপনের Focal point হচ্ছে এ Big Ben Tower. টাওয়ারটির উচ্চতা ৩১৫ ফুট।
টাওয়ারটি যে ঘড়িটির কারনে বিখ্যাত সে ঘড়িটি সেখানে স্হাপন করা হয় ১৮৫৯ সালে।চারিপাশ থেকে সঠিকভাবে সময় দেখা এবং ঢং ঢং ঘন্টা বেজে সময় নির্দেশ করার মতো এতো বড় ঘড়ি পৃথিবীতে এটাই ছিল প্রথম। ঘড়িটার ডায়ালের ব্যাস ২৩ ফুট।
Big Ben নামকরণ নিয়েও মজার দুটো তথ্য আছে। তবে কোনটি নিশ্চিত নয়। ঘড়িটি প্রথম স্হাপন করা শুরু করেন Sir Benjamin Hall যিনি ছিলেন বিশালদেহী একজন মানুষ। তার বিশাল বপুর কারনে পরিবারে তাকে আদর করে Big Ben বলে ডাকা হতো।কেউ কেউ মনে করেন তার সেই Big Ben নাম এখানে জুড়ে দেয়া হয়েছে। আবার কেউ কেউ মনে করেন যখন Big Ben স্হাপন করা হয় তখন বৃটেনে হেভিওয়েট মুষ্টিযুদ্ধে Benjamin Caunt নামে এক মুষ্টিযোদ্ধা হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ছিলেন।তার ডাক নাম ছিল Big Ben. ঐ সময়ে বড় কোন ঘটনা বা বড় কোন কিছু হলেই তা পরিচিতি পেতো ঐ হেভিওয়েট মুষ্টিযোদ্ধার ডাকনাম Big Ben হিসেবে। নামকরণ বিতর্কের দু’পক্ষই বেশ শক্তিশালী। তাই আমি আর কোন পক্ষ নিলাম না।
Big Ben কে বৃটিশ সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ iconic item হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৮৭ সালে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের নিদর্শন হিসেবেও UNESCO তালিকাভূক্ত করেছে।
Big Ben এর ঠিক পাশেই Westminster Abbey. লন্ডন শহরে শুধু Abbey বললেও লোকজন এই Westminster Abbeyকেই চিনে। এই ধর্মাশ্রমের চার্চেই বৃটিশ সিংহাসনে আরোহীগণের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় সেই ১০৬৬ সাল থেকে। আবার ১৭ জন সম্রাট/সম্রাজ্ঞী সমাহিত আছেন এখানে।
তবে এ আশ্রমের বর্তমান চার্চটি ১২৪৫ সালে রাজা দ্বিতীয় হেনরীর সময় নির্মাঁণ করা হয়। Westminster Abbey’র যে নির্মাণ স্থাপত্যরীতি তা’ গথিক স্থাপত্যরীতি হিসেবে পরিচিত। মূলতঃ দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতক পর্যন্ত ইউরোপে এ স্হপত্যরীতি প্রচলিত ছিল। তাই ইউরোপের যেকোনো দেশে যদি এধরনের স্থাপত্যশৈলীর পুরানো কোন ভবন চোখে পড়ে তাহলে নির্দ্বিধায় মনে করতে পারেন সেটির আনুমানিক বয়স তিনশ বছরের বেশি হবে।
আমাদের দেশে যেমন কোন কোন মসজিদ বা মন্দির বিশেষ কোন পীর বা ধর্মগুরুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে তেমনি ধারনা করা হয় Westminster Abbeyও একজন ধর্মগুরুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল । মধ্যযুগে সেই সন্ন্যাসী উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের কোথাও থেকে ইংল্যান্ডের এর Westminster Abbey তে ডেরা পেতেছিলেন যা পরবর্তীতে ধর্মাশ্রম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
Big Ben এর কাছাকাছি আরও আছে Westminster Palace. যেটি আবার Houses Of Parliament নামেই এখন বেশি পরিচিত। বৃটিশদের দূর্নাম এবং সুনাম দুটোই আমরা করি। দূর্নাম করি একারনে যে একদা বৃটিশরাজ বিশ্বের অনেক দেশকে কলোনী বানিয়ে শাসন শোষণ করে নিজেদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। আবার সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চার বিষয়ে আলোচনায় তাদের Westminister Democracy Model বারবার রেফারেন্স হিসেবে আসে। সে কথা মনে করে তাদের পার্লামেন্ট হাউস দেখতে গিয়েছিলাম।
Westminster Palaceই মূল পার্লামেন্ট হাউস।মূল পার্লামেন্ট চত্বরে তিনটি টাওয়ার আকৃতির ভবন আছে। রাজপ্রাসাদটি প্রথম নির্মাণ করা হয় ১০১৬ খ্রীষ্টাব্দে। তারপর হাজার বছরের ইতিহাসে এটিতে ঘটে নানান ঘটনা। রাজপ্রাসাদ থেকে হয়ে উঠে আধুনিক গণতন্ত্রের সুতিকাগার।এ ভবনগুলো নির্মানের পর বহুবার আগুনে পুড়ে গেছে। এ কারনে সপ্তদশ শতাব্দীতে একবার আদেশ জারি করে পার্লামেন্ট ভবনের ভিতরে ধূমপান নিষিদ্ধও করা হয়েছিল। তারপরও ১৮৩৪ সালে বড় ধরনের অগ্নি দূর্ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। আর একবার ব্যাপক ক্ষতি হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমার আঘাতে। প্রতিবারই পুনঃনির্মাণ বা মেরামত সংস্কার করা হয়েছে।
দূর্ঘটনা কিম্বা আক্রমণ তারপর সংস্কার — এর মধ্য দিয়েও স্থাপত্যরীতি আর সাংস্কৃতিক নিদর্শনের অনেক বির্বতন ঘটে এখানে।তারপরও গথিক স্থাপত্য শৈলীর এ রাজপ্রাসাদটি গ্রেট বৃটেনের তো বটেই গোটা বিশ্বের অন্যতম নিদর্শনের মর্যাদা পেয়েছে। এটি এখন UNESCO ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত নিদর্শন।
বৃটিশ পার্লামেন্ট নিয়ে অনেক কথা অনেকেরই জানা আছে। তাই আর এ নিয়ে বাড়ছি না।তবে যে বিষয়টি নিয়ে এখন একটু লিখতে চাচ্ছি সেটি হচ্ছে River Thames নিয়ে।
আমাদের স্কুল জীবনে কোন এক ক্লাসে (ঠিক স্মরণ করতে পারছি না) বাংলা পাঠ্য বইয়ে অধ্যাপক আব্দুল হাই লিখিত ‘বিলেতে সাড়েশ দিন’ এর অংশবিশেষ অন্তর্ভুক্ত ছিল। পাতাল রেল আর River Thames নিয়ে লেখকের একটা মনোজ্ঞ বর্ণনা ছিল তার লেখনীতে।যা আমার তরুণ মনে রেখাপাত করেছিল।মনে করতাম, যদি কখনও সৌভাগ্য হয় তাহলে এগুলো দেখে আসবো। এরপর দেখা যেহেতু হয়েছে তাই আমিও আমার অভিজ্ঞতা একটু ভাগ করে নিতে চাচ্ছি ।
‘বিলেতের সাড়ে সাতশ দিন’ পড়ে মনের মধ্যে Thames নদী সম্পর্কে যে কল্পচিত্র ছিল বাস্তবে তার কিয়দংশ পূরণ হয়েছিল আমার। যদিও ২১৫ মাইল দীর্ঘ নদীটি গোটা ইংল্যান্ডের দীর্ঘতম এবং গ্রেট বৃটেনের ২য় দীর্ঘতম নদী।কিন্তু নদী যদি হয় শান্ত, সুবোধ তবে কি তাকে দেখে মন ভরে? নদী হচ্ছে প্রকৃতির সন্তান। তার মাঝে থাকবে উদ্দাম আর উচ্ছ্বলতা। তাকে যদি বিউটি পার্লারে সাজানো নর বা নারীর মতো সাজিয়ে রাখা হয় তাতে কি তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য প্রকাশ পায়? কৃত্রিম সৌন্দর্য মনকে খানিক পুলকিত করে বটে কিন্তু আবিষ্ট করে না। Thames নদীতে নৌবিহার প্রিয় লোকজনসহ ছোট,মাঝারি বোট চলাচল করতে দেখেছি (নৌকা শব্দটা ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেলাম)। নদীর কূল ঘেঁষে আটসাট পোশাকে রৌদ্রস্নানরত নারী-পুরুষ দেখেছি। কিন্তু নদীর সৌন্দর্যের অপার আনন্দের যে চিরন্তন রুপ তা কিন্তু আমি তেমন খুঁজে পাইনি।অবশ্য নদীর উপরে সেতুর নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে মুগ্ধ হয়েছি।
তারপর গেলাম কাছাকাছি Trafalgar Square দর্শনে।রাজকীয় ভংগিমায় আসীন সিংহকে পিছনে রেখে ছবি উঠালাম।এটি পাবলিক স্কয়ার হিসেবে পরিচিত। ১৮০৫ সালে ইংলিশ চ্যানেলের দখলদারিত্ব নিয়ে ফ্রান্স এবং স্পেনের যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে বৃটিশ নৌবাহিনী যুদ্ধে জয়লাভ করেছিল।তারই স্মারক হিসেবে এই স্কয়ারটি তৈরি করা হয়। জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এ স্কয়ারে রাজনৈতিক সভা,বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সভা ছাড়াও খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদযাপনের কেন্দ্রস্হল হিসেবে এ স্কয়ারটি সমধিক পরিচিত।

শেয়ার করুন ..

Comments are closed.




© All rights reserved © পাতা প্রকাশ
Developed by : IT incharge