চলতি পথের গপ্পো
সাব্বির হোসেন
আজ পায়ে হেঁটে অফিসের দিকে ছুটছি। রিকসায় চেপে দুজন নারী সাদা শাড়ি পড়ে মৃদু গতিতে কোন এক অজানা গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। ঈশ্বরীয় দৈববলে চোখে চোখ পড়ল। এমন একটা প্রীতিময় আবহাওয়ায় মুচকি না হেসে পারা যায় না। ক’দিন আগেই তো বন্ধন দিবস গেল। চোখে চোখে নানান কথা। কিঞ্চিৎ বাঁকা চোখে ক’ সেকেন্ড। পাড়ার মোড়ে হঠাৎ যান জটের আভাস। পায়ের গতিবিধিতে ততোক্ষনে হালকা অনুভুতি প্রকাশ পেয়েছে। দেখতে দেখতে সাদা শাড়িতে চোখ পড়ল। গাঢ় সবুজ পাড় এর সাদা শাড়ি। বুঝতে দেরি হল না যে এটা কোন নার্সিংহোম এর প্রশাসনিক পোষাক। ভাবতেই খুব আনন্দিত হলাম। ইতিমধ্যে ললনাদ্বয়ের শৈল্পিক অবয়বে বিষন্নতা ফুটে উঠেছে। বুঝতে পারলাম এ বিষন্নতা মলিনতার এক বিস্ময়কর কারণ। যানবাহন ইতিমধ্যে চলতে শুরু করেছে। মুহুর্তের মধ্যে তাঁদের ভুরুখানি কুঁচকে গেল। সাদা শাড়ির জন্যই এ অঘটন। ঠিকই তো এত অল্প বয়সে রঙিন রঙে মিশতে কারনা মন চায়। পলকে রিকসাটি হারায় গেল। দূর দূরান্তে ছায়াটুকুও মিলিয়ে গেল। কিছু কথা মনে আওড়াতে আওড়াতে হাঁটা ধরলাম। “নারী, মন খারাপ করো না। তুমি তোমার শাড়ির রঙের মতই পবিত্র। সাদা বা শুভ্র যা ই বল। আমার কাছে তোমাদের জন্য প্রতিটি ক্ষণ নারী দিবস।”