ধ্রুপদী শামীম এর কবিতা প্রাক্তন
প্রথমত আমি তোমায় ভালোবাসতে চাইলাম।
দূর থেকে প্রজাপতি দেখে যেমন মুগ্ধ হতে হয় ঠিক তেমনি।
তোমায় দেখে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়লাম।
একতরফা প্রেম।
সবাই বলে প্রেমে পড়লে মানুষ বোকা হয়ে যায়।
কবি হয়, দার্শনিক হয়।
আর আমি হলাম কাল্পনিক!!
হ্যাঁ, তোমার মুগ্ধতা ছড়ানো চঞ্চলতা,
দিগন্তবিস্তৃত হাসি, খোপায় বাধা শিউলী ফুল
আর নুপুরের রিনঝিন শব্দ তুলে চলা
এটাই তখন আমার পৃথিবী।
আমি জেগে জেগে কল্পনায় তোমায় দেখি,
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে জেগে থাকি আরো বেশি।
কয়েকদিন আড়চোখে তাকালে।
একদিন ঝুম বৃষ্টিতে কদমফুল হাতে দাঁড়িয়ে বললে,
‘আমিই তোমার প্রেমিকা।’ আমি যেন খুন হয়ে গেলাম।
দ্বিতীয়ত, তুমি আমায় ভালোবাসো।
তপ্ত রোদের মতো, মেঘের জলের মতো
নৈঃশব্দে বয়ে চলা হিমবাহর মতো।
কখনো কখনো ভয়ংকর সুন্দর হিমালয়ের মতোই ভালোবাসায় শুভ্রতা এনে দাও।
তৃতীয়ত, তুমি আমায় ভালোবাসার উপহার দিতে চাইলে।
‘আগামীকাল রাতে বকুলতলায় এসো’ তোমায় ভালোবাসার উপহার দিতে চাই।
আমিও ভালোবাসে বকুলতার গেলাম, উপহারের জন্য নয়, তোমার জন্য।
তুমি উপহার হিসেবে আমার বন্ধুর হাতে পড়ালে সোনার আংটি!
আমি পেলাম তোমার উপহার।
প্রাক্তন, আমি তোমার প্রাক্তন হয়েই রইলাম।
ভালোবাসতে জানলে প্রাক্তনেই সুখ। যাকে ছোয়া যায়না,
বলা যায় না; দূর থেকে ভালোবেসে সৌন্দর্যে জ্বলেপুড়ে মরতে হয়, সেইতো প্রাক্তন।
প্রাক্তন হয়ে গেলে পুরুষ হয়ে যায় পোড়াকাঠ আর নারী হয়ে যায় বিশুদ্ধ স্রোতস্বিনী।
প্রাণের ভিতরে প্রবাহিত শূন্যতার অনুভূতি শুধু প্রাক্তনই জানে, ধরা দেয় না শুধু।