দ্বিপক্ষীয় আলাপ
তাসমিন আফরোজ
সামনে এগুবে পথ খোলা নেই আর-
লক ডাউনের প্রহরী লাগিয়েছে শিকল কঠিন কঠোর, নয় তো তা অরাজকতার-
লোহার নয় স্বনিয়মের ব্যঞ্জনা লাগিয়ে দিয়েছে, লাগিয়ে দিয়েছে তকমা বেষ্টনীর আঁধার –
বুকের ভেতর জমিয়ে রেখেছো যে আলো –
তাকে রেখে দাও গোপন সরঞ্জামে-
ভুলে যদি লোভী হয়ে ওঠে কলমের চোখ –
কাব্যের কাহিনিবিস্তার নিরুপদ্রব সময়ে-
ধরিত্রীপুরে বেঁচে থাকার আকুলতা সম্ভাব্য আশ্রয়ে- খুঁজে ফেরা শ্বাসের উৎযাপনে –
কে দেবে এখন তালপাখার হাওয়া
ভালোবাসার আবেশে দু,মুঠোর ছাদ –
তেমন পাওয়া যায় এখনো কিছু? হরিৎ রঙ মাখানো স্বপ্ন নিনাদ-
এই যে দিন যায় হাঁটু মুড়ে মুড়ে,
রাতের আকাশে নক্ষত্র যেমন ঝিময়-
কথা গান তেমন নতজানুতে আনে দীর্ঘ উপাখ্যান সুগভীর ক্ষয়-
জানোই তো,
যখন কিছুই থেমে থাকে না সময়ের ঘড়িতে-
হাতে রেখে হাত আবার গতিশীল জীবন বেষ্টনীতে- চুপ থাকা বেদনা,
উহ্য রেখে দাও দুঃখী অন্তর, পালাবদলে গানের সপ্তম স্বর-
হাত বাড়িয়ে ভোরের সিম্ফনি
যতোই খুঁজুক অধরা কিছু আলাপ শূন্যতারই-
তারপর আবার আমরা যেনো দু’পশলা বৃষ্টিতে ভালোবাসার জলে ভিজে নাইতে পারি-
প্রাণের ভেতর চৌকাঠের আগল খুলে বিষম
শক্তি হাতে নিক হাতে নিক-
মৃত ঘোষণায় জীবিতের অহম আজন্ম জয়ের পাল তুলে দিক –
জীবন তো এমনই জলের উথলে পার হয়,পার হয় রোজ জোয়ারভাটায়-
মানুষই মানুষের নিয়ম ভাঙে একই রকম শক্তির পাঞ্জায়-
এখন বরং মুখের উপর মুখোশ টেনে চলতে থাকি দ্বিপ্রহরী-
রাসায়নিক এই যুদ্ধ শেষে জানি আরেকটা সূর্য কমলা রোদ মেখে, ভালোবাসার আবেশে –
তোমার ঘরে আমার বাগানে ফুলের কোরকে মৃত্যু ঘ্রাণ রেখে,
আমরা যেনো আবার
আমাদের ভালোবাসতে পারি…