হাড় : ক্লদিয়া এমারসন
সেই প্রথম অন্ধকার। যখন লাঙল তাকে তুলে এনেছিল।
তখনো উপ্ত নয়, মাংস হীন কাদা মাখামাখি।
সম্পূর্ণ একাকী। পেশির বিরক্ত দৃষ্টি
গলে যাচ্ছে চিন্তাশীল সূঁচের ভেতরে। এবং তথাপি
একটি আহত মুঠি প্রতিহত করেছিল কুকুরের মুখ। সে সাহস করেছিল।
খসে পড়েছিল তার দংশন থেকে।
আধো অন্ধকার পিঠে নিয়ে
নিশি ডেকে উঠেছিল রুদালীর গানের মতন।
কখনো দেখিনি, কোন সে জরুরী ডানা কায়াহীন করেছিল
সেই কণ্ঠকে। বুঝিনি ভাঙ্গা খোলস ছায়া ও পালক
আমার সামনে বাধা হয়ে উঠেছিল।ভুলে যাবে ভয়ে
নিজেকে সে বারবার আবৃত্তি করেছিল অর্থহীনভাবে।
এই এখানেই
অবিরত যত দাবি সমূহের দিকে নিক্ষেপ করেছি তাকে
এবং দেখেছি
নিছক যান্ত্রিকভাবে আপাদমস্তক বারবার তাকে বাঁক নিতে ।
সিস্ট : ক্লদিয়া এমারসন
একবার গর্ভপাত করতে হয়েছিল, আরো একবার
বিবাহিত ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম,মেয়েটা জানাল
তারপর আরেকবার, তার একাকীত্ব বরাবর
অস্বস্তিজনক, তার শরীর…
তারা এমনকিছুর জন্য একা, যার আসলে কোনো নাম নেই
এসবের জন্য হয়তো মেয়েটাই দায়ী
সে বলছিল, ঠিক ব্যথা নয়, একটা চাপ চাপ ভাব
ভেতরে কোথাও নয়,বাইরের দিকেই
ডিম্বাশয়ের গায়ে লেপ্টে থাকতে থাকতে
জরায়ু নিজেই তাকে গর্ভে ধরেছিল
যখন গর্ভাধার বাদ দেওয়া হল, ওরা বলেছিল
যদি চায়, শেষবারের মতো সেটি দেখতে পারে সে
চুল,দাঁত, নখের ব্যাপারে যেমন কারও কৌতূহল হয়। আশ্চর্য
অথচ মৃদু, বিপদজনক কিছু নয়
ডাক্তার বললেন, যেভাবে সেটির দিকে চোখ রেখে
মাথা নাড়লেন, যেন সিস্টের নিজেরও তাই মত
যেন এটাই সত্যি
গোটা ঘটনাটি, শরীর
কৌতূহলবশে যে বারবার ভুল করে ফেলে
ক্লদিয়া এমারসনের জন্ম ১৯৫৭ সালের ১৩ই জানুয়ারি। আমেরিকায়, ভার্জিনিয়ার চ্যাথাম শহরে। তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘লেট ওয়াইফ’ এর জন্য তিনি ২০০৬ সালে পুলিৎজার পুরস্কারে সম্মানিত হন। ২০০৮ থেকে ২০১০, এই দুবছর তিনি ছিলেন ভার্জিনিয়ার রাজকবি অর্থাৎ পোয়েট লরিয়েট। ২০১৪ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর মাত্র ৫৭ বছর বয়সে ক্যান্সার তাঁকে কেড়ে নেয়।