শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন

তুমি এবং দুটি লাল গোলাপ-লতিফুর রহমান

তুমি এবং দুটি লাল গোলাপ-লতিফুর রহমান

এক.
বহরমপুর থেকে অফিস এর দূরত্ব ৩০ কিমি মতো। রোজ রোজ বাইক চাপিয়ে অফিস আর বাড়ি করতে হয় অরন্যকে। বৃদ্ধ বাবা মা বহরমপুরের বাড়িতে সেই প্রাচীন সময় ধরে আছেন। নিজ বাড়ির উপর কি যে এক মায়া জন্মে সেটা শহরের টিপটপ, উদ্ধাবাস্ত জীবন পছন্দ করা মানুষের পক্ষে অনুভব করতে পারা দূরহ। আর অরন্য ও কম গ্রাম ঘেঁষে থাকা নয়। প্রকৃতি আর মাটির গন্ধ ভরা গায়ের মেঠো উত্তাপে মিশে থাকতে নাকি তার ও ভীষণ ভালো লাগা স্বপ্ন। অফিস, বাড়ি আর সন্ধ্যার পর একটা চায়ের দোকানের পাশের ফাকা যায়গায় বসে মোবাইলে বই পড়া, মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর সামাজিক মাধ্যমে বুদ হয়ে পড়ে থাকা নিয়মিত দিনলিপি হয়ে গেছে। নেট দুনিয়ায় আজ সমস্ত দুনিয়া যেন হাতের মুঠোয়। রোজ রোজ নতুন মানুষের সাথে বাড়ছে যোগাযোগ, পরিচয়, আর হৃদয়ের লেনদেন। আর বাড়ছে মানুষের সাথে মানুষের নির্ভরতার এক অবাক সম্পর্ক। প্রফাইলে নারীর মুখচ্ছবি বিহীন আইডি এখন নিয়মিত ঘটনা চক্র। সেই রহস্যের জট খুলতে পারাই যেন পুরুষদের জন্য মাইন্ড গেইম।
ছায়া। প্রথম রিকুয়েষ্ট পাঠায় অরন্য কে। অরন্য প্রায় বারো বছরের বেশি সময় ধরে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আছে। বন্ধুর সংখ্যা ও নেহাত কম নয়। রোজ রোজ বাড়ছে, মাঝে মাঝে ঝরে পড়াই যেন নিয়মের ঘটনা আজকাল। তবে খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক টা সব সময় ই কম থাকে সবার। ছায়া র সাথে এড হওয়া মানুষ গুলো অরন্যের ও বন্ধু। পরিচিত মানুষের সাথে কেউ এড আছে জানলে মনে একটা সাহস গজায়, এটাই স্বাভাবিক। অরন্য রিকুয়েষ্ট গ্রহন করে ছায়া কে নির্ভাবনায়। তারপর দুজনের ইনবক্সে রোজ রোজ কথা হতে থাকে। অরন্যের একটা পুরো পরিবার রয়েছে, বাবা মা ভাই বোন, স্ত্রী আর বাচ্ছারা। আর যাইহোক নিজেকে কখনো গোপন রাখেনি অরন্য। এটা তার কেন জানি খুবই অপছন্দের বিষয়। একটা সময় যত্নে যত্নে অস্থির করে তোলে ছায়া। খাওয়া দাওয়া, অফিস ইত্যাদি ইত্যাদি। সত্যিই তো মানুষের দুর্বলতা হয়তো এখানেই। মানুষ আর যাইহোক যত্ন পেলে তার বুকের ভিতর তরতাজা হয়ে উঠে। অরন্য ও কম নয়। কিন্তু সব কিছুর ভিতর ও একটা ভয় থাকে তা হলো বিচ্ছেদের ভয়। ভুল বুঝাবুঝির ভয়। হারিয়ে যাওয়ার ভয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের পরিচয় ও অনেক মানুষের সাথে হয়। সেক্ষেত্রে অরন্য বলা যায় পোক্ত। হাসিখুশি আর নির্ভাবনা মানুষের বন্ধু সব সময়ই বেশি হয়ে থাকে। সেটা নিজের কর্মক্ষেত্রে হোক বা ব্যক্তিগত জীবনে হোক। মধ্যম বয়সী অরন্য সেদিক থেকে পিছিয়ে নেই আগেই বলেছি, কিন্তু দ্রুত মানুষের সাথে মিশে যাওয়া আর ভয়ংকর বিশ্বাস মাঝে মাঝে অরন্য কে কষ্ট যে দেয় না তা নয়। কিন্তু জীবনের সাথে কিছু নিয়ম একবার গেথে গেলে সেখান থেকে আর পরিত্রান পাওয়া সহজ নয় কখনো। একটা সময় ছায়া ও ভীষণ বিশ্বাস করতে থাকে অরন্য কে। অরন্য ও তার স্বভাব সুলভ আচরন প্রকাশ করতে থাকে। এভাবেই দুজন ভীষণ বন্ধু হয়ে উঠে। এখন তো দিনের তথা রাতের ও একটা বড় অংশ জুড়ে দুজনের কথা হয়। বলা যায় প্রতিটি মুহূর্তের হিসাব নিকাশ দুজনের আংগুলের রেখায় রেখায়। মাঝে মাঝে মন খারাপ করে চুপচাপ হয়ে থাকে ছায়া। প্রথম স্বামীর সাথে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিচ্ছেদের রঙ এখনো উঠে যায়নি। ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থা থেকে আমাদের উত্তরন হয়তো সহজ নয় আমাদের।

দুই.
কপাল থেকে সদ্য মুছে যাওয়া সিদুরের ক্ষত একটা নারীকে সারাজীবন হয়তো পুড়িয়ে মারবে। শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতনের দাগ, কথার খুনে খুনে বুকের ভিতর খানখান হয়ে যাওয়া ছায়া ও বাচার জন্য ছটফট করে বেড়ায়। প্রতিটি মানুষ ই চায় তার ভীষণ বিপদের মুখে একজন মানুষের স্বান্তনার আংগুল থাকুক।
কি করছেন দাদা?
কিছুনা এই তো বসে বসে। অরন্য বলে।
আপনি কি করছেন?
নদীর ধারে বসে।
বা পদ্মা নদী তো?
হ্যাঁ। আমাদের বাড়ির খুব কাছেই। আমাদের বাড়ি থেকে নদীর গর্জন শুনি। তবে আজ আর সেই নদী নেই। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নদীতে এখন বালু থাকে, জল থাকে না।
অরন্য কখনো সেখানে যায়নি। আর যাওয়ার কারণ ও ছিলো না। একজন মানুষ না থাকলে সেই স্থানের প্রতি মানুষের টান কখনো আসেনা।
ছায়া এবার সেই ইতিহাসের গল্প শোনাতে থাকে, মুঘল আমলের সময় নাকি এখানে বন্দর ছিলো। ব্যবসা বানিজ্য আর জাহাজ এ ভরপুর ছিলো, এগুলো কাকাদের মুখে গল্প শোনা।
অরন্য তার খুব মানুষের সাথে আপনি করে বলাটায় একটা অসস্থি বোধ করে। বলা যায় এটা স্বভাবগত বিষয়।
প্রথম দুদিন আপনি করে বলার পর, এখন ছায়া কে নাম ধরে সে ডাকছে। আর এতে ছায়ার ও আপত্তি থাকার কারণ থাকে না। আর বয়সের বিষয় টা থাকছেন। কিন্তু সম্পর্ক বা বন্ধুত্ব কি বয়সের উপর নির্ভর করে? প্রশ্ন করে অরন্য।
না। অবশ্যই নয়। বন্ধুত্বের কোন বয়স নেই। ছায়া বলে। এরকম হাজারো নজির বলতে থাকলে হয়তো রাতের পর রাত লাগবে, কিন্তু তোমাকে বুঝাতে পারিনা। উষ্মা দেখানোর চেষ্টা করে অরন্য।
এই নিয়ে মাঝে মাঝে মন খারাপ করে থাকতো অরন্য।
আমি আপনাকে দাদা আর আপনি করেই বলবো কিন্তু। আমার পক্ষে আপনাকে তুমি করে বলা সম্ভব নয়। ছায়া তার অপারগতা মুখের ওপর ছুড়ে মারে অরন্যের। এরপর হয়তো পরে এক ঘন্টা আর নক করেনা অরন্য। ভীষণ আবেগপ্রবণ আর অল্পতেই মন খারাপ করা মানুষের সাথে পারা সত্যই কঠিন। তবে ছায়া ও জানে অরন্য চুপ করে কখনো থাকতে পারে না। একটা মানুষের বুকের ভিতর জানতে তার দুর্বলতা ও মানুষ সহজে জেনে যায়। ভীষণ রাগ আর জেদি যে নয় তা ছায়া মাঝে মাঝে নিজের মুখেই স্বীকার করে। অরন্য চঞ্চল মানুষ। চুপচাপ হয়ে থাকার মতো ধৈর্য তার নেই। যে বাহানাই হোকনা কেন, অনাহুত খুনসুটি আর কথার ব্যারিকেড বসিয়ে ছায়ার দুঃখ পথেই আটকে রাখে অরন্য।
দাদা। অনেক দিন পর আজ হাসলাম। ছায়া বলে।
এই হাসি র জন্য কতকিছুই না করছি জীবনে। মানুষ যা কিছু করে তার স্বপ্ন ই হলো হাসির জন্য। হুম হুম অরন্যের কথা গুলো গিলতে থাকে ছায়া।
সুখ দেয়া কি সহজ কিছু?
না। ছায়া বলে।

তিন.
একদিন ছায়াকে দেখার জন্য উত্তাল হয়ে উঠে অরন্যের বুক। ভালো লাগলে মনে হয় এক পলক দেখার জন্য মানুষ ভীষণ হিংস্র যমুনার মতো হয়ে উঠে। মাঝে মাঝে হোয়াটসঅ্যাপে তারা কথা বলতো। সেই কথা চলতো আর চলতো। দুটো প্রিয় মানুষের কি কি কথা হতে পারে বা কিকি থাকতে পারে তা আর এই জন্মে উদ্ধার করতে পারা সম্ভব নয় কখনো। হৃদয়ের এই সুখ একমাত্র তারাই উপলব্ধি করতে পারে। অরন্য একটা সেল্ফি চেয়ে রেখেছিল দুদিন হলো। ছায়া সেটা আর গুরুত্ব দিচ্ছে কই।
আমি কখনো ভিডিও কলে কারো সাথে কথা বলিনা। আমার পছন্দ নয় একদম। তাই অরন্য আর কখনো জিদ করে না সেই নিয়ে। কারণ ছায়া জানেই না, অতি আবেগপূর্ণ মানুষ কিন্তু জেদি ও। কারণ তারা অপেক্ষা করতে জানে। তিথির সাথে অরন্যের সেই মায়ার চাদর জড়ানো সম্পর্ক টা নিশ্চিত অবাক হয়। অরন্য আর তিথির আট মাসের সম্পর্ক অবস্থায় কেউ কাউকে কখনো দেখেনি বা গলার শব্দ না শুনেও যে ভেংগেচুরে ভালোবাসা যায় এটা হয়তো ছায়ার কাছে স্বপ্ন মতো বা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। কিন্তু অরন্য মিথ্যা বলেনা। একদম ই তার পছন্দ নয়।
একটা কথা বলি রাখবে?
ভাবনায় পড়ে যায় ছায়া। পুরুষ দের সব কথা হয়তো নারীদের জন্য মেনে নেওয়া সহজ নয়।
আচ্ছা বলুন দাদা।
আমাদের এই দীর্ঘ সময় ধরে চলা সম্পর্ক টা নিয়ে তোমার ধারণা কি? অরন্য একটা প্রশ্ন ছুড়ে বসে।
জানি এর জবাব সহজ নয়।
দাদা আর বোনের মতো।
এটাই কি?
হ্যাঁ তাই তো ভাবি আমি। আর বন্ধু।
নারী আর পুরুষ এর সম্পর্ক নাকি বন্ধুত্বের থাকে না?
ছায়া এবার নিরত্তর।
তবে তোমাকে কেন জানি ভীষণ পছন্দ করি। আর বারবার মনে পড়ার বিষয় টা আমাকে ভাবাচ্ছে ভীষণ। অরন্য বলে।
কাউকে আপনার ভালো লাগতেই পারে। এটা দোষ নয়। ছায়ার সরল স্বীকৃত শুনে পুলকিত হয়ে যায় অরন্য।
কিছু সম্পর্ক ব্যাখা করা সহজ নয়। এবং এই সম্পর্কের পরিনতি হয়তো শেষ হবে বিচ্ছেদে। কিন্তু তার পর ও নিশ্চিত পরিনতি জেনেও কাউকে ভালো বেসে যাওয়া কিন্তু কম নয়। ছায়া হয়তো সেই পরিনতি ও দেখতে চায় না। আর সেই ভয়ে আপনি থেকে তুমি বলার মতো ঝুকি ও নিতে চাচ্ছে না। এই তুমি বলা নিয়ে দুজনের মাঝে মাঝে মৃদ্যু বিরোধ হতো। মাঝে মাঝে কথা কম হতো। তবে তা সাময়িকী বিচ্ছেদ। ছায়া ও জানে অরন্য তাকে ভীষণ রকমের ভালোবাসে, তার কথায় বা আচরণে সেটা বহুবার প্রকাশ্য হয়েছিল।
কিন্তু অরন্য ও ভাবছে ভিন্ন কিছু। সেও চায় না এই নিয়ে বিরোধ হোক বা এত তাড়াতাড়ি বিচ্ছেদ। সে তো তার মনের ইচ্ছে বলেই দিয়েছে৷ বাকি টা ছায়ার বিষয়। কিন্তু এই মনের ইচ্ছে গুলো কখনো অপ্রকাশ্য রাখতে নেই নাকি, অরন্য সেটাই মানে।
তবে তাই বলে একে অপরকে তুমি করে না বলার কোন যুক্তি খুঁজে পায় না সে। সত্যিই তুমি শব্দটা ভীষণ কাছের আর দ্বিধাহীন একটা শব্দ। এর চেয়ে নিকটতম শব্দ আর নেই। এত কিছু বলার পরেও ছায়ার এই একগুঁয়ে আর জিদ্দি মনোভাব কষ্ট দিতে থাকে অরন্য কে প্রতিমুহূর্তে।
আগামী শুক্রবার অবশ্যই দেখা হবে। ছায়া বলে।
হ্যাঁ। অবশ্যই হবে। আমি তো গোলাপ নিয়ে যাব, আর হাটু গেড়ে তোমার হাতে তুলে দিয়ে বলব?
হা হা হা করে হাসতে থাকে ছায়া। আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে তাই দিয়েন। সেও এই অল্প সময়ে অনেক চিনতে পেরেছে অরন্য কে। ছায়া ও জানে অরন্য একটা পাগল আর চঞ্চল মানুষ। অরন্যের দুস্টামি আর খুনসুটি ও একটা সময় দারুণ উপভোগ করতে থাকে ছায়া।
অরন্য সময় আর কথা কখনো হেরফের করে না।
কিন্তু এই শুক্রবার আর যেন আসছেই না , প্রতিদিন আংগুলের রেখায় গুনতে থাকে অরন্য।
সেদিন শুক্রবার। তীব্র রোদের ছোবল কিন্তু দেখা করার যে বাসনা তার কাছে সমস্ত কিছু যেন ম্রিয়মাণ। এই প্রথম অরন্য দুটো গোলাপ কিনলো। সযত্নে পাঞ্জাবী পকেটে রেখেছে এক ডালি ভালোবাসা মেখে নিয়ে। সাগর পাড়া থেকে খানিকটা দূরে ছায়ার সাথে দেখা হবে অরন্যের। তার আগের রাত একদম ঘুমাতে পারেনা সে, এর যে একটা হৃদয়ের উন্মাদনা আর যে তীব্র অনুভূতি থাকে সেটা হয়তো প্রকাশ করতে পারা যায় না। ঠিক সময় মতো হাজির হলো দুজনেই। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছায়াকে এক কলস পিপাসার মতো দেখতে থাকলো অরন্য।
জানি সম্প্রতি ঝড় যাচ্ছে তোমার, তবে যত্নশীল হও। এক গাদা উপদেশ দিয়ে যায় অরন্য। তবে ছায়া তা পছন্দ করেছে কি না তার উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। কারণ নারীর মুখের ওপর সমালোচনা করার একটা ঝুঁকি থাকে। কিন্তু অরন্য হয়তো ব্যতিক্রম। সে ভেবেই নেয়৷ আমি তো ভালোর জন্য বলছি তাই না।
বুকের ভিতর তবুও যেন কাপতে থাকে এই প্রথম কোন নারীর হাতে লাল গোলাপ তুলে দেওয়ার অপেক্ষায় সে। দীর্ঘ সময় কেটে গেছে, অজস্র মুখ খসে গেছে কালের অন্তরালে কিন্তু গোলাপ কখনো দেওয়া হয়নি তার।
পকেট থেকে বের গোলাপ বের করতেই মুঠো করে ধরে ছায়া। দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে।
ভালোবাসি বলতেই লজ্জায় লাল আভায় ভেসে ওঠে ছায়ার মুখের তাবত অঞ্চল।
ফিরে আসে অরন্য এরপর।
দাদা তার ছোট বোন কে গোলাপ দিতেই পারে। ছায়া বলে।
আমি কিন্তু আমার প্রিয় মানুষের হাতে দিয়েছি।
আচ্ছা ঠিক আছে। এরপর থেকে আর হয়তো এভাবে বলবো। সমস্ত কিছু প্রকাশের অন্তরালে থাকুক। এই নিয়ে দুজনের মন বিরোধ খানিকটা চলে।
এরপর থেকে অরন্য যা কিছু করছে সব কিছু অভিনয় তার, সব সময় পাওয়ার জন্য ভালোবাসতে হবে কেন?
সব সময় মুখ ফুটে বলতে হবে কেন?
এখনো গোলাপের স্মৃতি ভেসে ওঠে, ছায়ার দুটো শুভ্র হাতের মুঠো, রক্তিম চোখ, ঠোঁটের কাপন এগুলো তো আর মিথ্যা নয়?

শেয়ার করুন ..

Comments are closed.




© All rights reserved © পাতা প্রকাশ
Developed by : IT incharge