ডা. এম এ ওহাব লাবিব এর একগুচ্ছ কবিতা
সারা দুনিয়া বদলে দিলে
করোনা তুমি জানিয়ে গেলে, যাচ্ছো বলে
মানুষ খাঁচায় থাকলেই পরে বাকি দুনিয়া খুশি তবে।
আচমকা,সারা দুনিয়াটা বদলে দিলে!
চীনের প্রাচীর কি কিছু অবরুদ্ধ করতে পারে।
মানব জাতিকে মৃত্যুভয় দেখিয়ে খাঁচায় ভরে
বাকি দুনিয়া কেমন প্রাণোচ্ছলে চলে।
সাগর তীরে কাছিম ছানা করছে কত খেলা
শেওলা, কোরাল হাসি খুশি বসছে সেথায় মেলা।
গাছপালা, পশুপাখি, নদীনালা কত খুশি বলো?
আলো বাতাস আকাশ সবাই আছে এখন ভাল।
দেখ তাকিয়ে মানুষ ছাড়া পৃথিবীর কি নকশা
কারও কিছুই যায় আসেনি, সবাই তারা বাদশা।
প্রকৃতি আগের থেকে আরও হয়েছে বিশুদ্ধ খাঁটি
সবুজ শ্যামল হয়েছে বরং সারা পৃথিবীর মাটি।
আমেরিকা ইউরোপের মানুষ কি শক্তিধর হয়?
তুমি করোনা প্রমান করিলে তারা শাসক কারো নয়।
এই দুনিয়ায় পিঁপড়ে মশা সবাই এক আল্লাহর সৃষ্টি
মানুষ তোমরা কারও মালিক নও কেবলই অতিথি।
তাই বেঁচে উঠে মাথা নত করে ফিরো দৃষ্টিতে
যেন বিনয় ,কৃতজ্ঞতা থাকে জুলুম না থাকে সৃষ্টিতে।
গরীবের ডাক্তার
তুমি গরীবের ডাক্তার মঈনউদ্দিন
আমাদের অহংকার, রোগীদের হৃদয়ের বীন।
তুমি করোনায় প্রথম শহীদ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
ঢাকা মেডিকেলের মেধাবী, মানবিক ও ভাল ছাত্র
তুমি শত শত ছাত্র এবং ডাক্তারের প্রানের শিক্ষক।
পড়েছো এমবিবিএস করেছো এফসিপিএস, এমডি
হয়েছো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও হৃদয়ের চিকিৎসক
ডাক্তারী শিখেছো আঠারো বছর হয়েছো এখন শিক্ষক।
তুমি ছাতক আর সিলেটের ডাক্তার নও হে মহাবীর!
তুমি এখন করোনা যোদ্ধা সারা পৃথিবীর।
তুমি মোদের শ্রেষ্ঠ সন্তান, রোগীদের চোখের মনি
তুমি মোদের গর্ব ও অনুপ্রেরণা সেটাই লালন করি।
তুমি করোনার সম্মুখ যোদ্ধা অকুতোভয় সৈনিক
পিপিই যেমনিই হউক রোগী সেবা করেছ দৈনিক।
জীবনের শেষ বিকালে আবদার করেছিলে এয়ার এম্বুলেন্স
দিতে পারিনি তা ছিলো না মোদের কারো সাধ্য
সেটা নাকি ছিল মন্ত্রী, এমপি কিংবা বড় অফিসারের বরাদ্দ।
তুমি হলে প্রথম শহীদ চিকিৎসক , করোনায় দিলে প্রাণ
তোমার শিশু সন্তান আজ এতিম হলো ভেবে হই খান খান।
দোওয়া করা ছাড়া মোদের কিবা আছে আর বলো?
আল্লাহ তোমায় দান করিবে জান্নাত, থাকো সেখানে ভাল।
তোমরা মোদের ভালবাসা প্রানের রতন
তোমরা মোদের অহংকার বুকের মানিক
তোমরা করোনা সৈনিক
তোমরা মোদের ভালবাসা প্রানের রতন
পিপিইসহ তোমরা নিও নিজের যতন।
করোনার ভয়ে যখন ছুটছে মানুষ দিগ্বিদিক
ডাক্তার, নার্স তোমরা তখন করোনা সৈনিক
সালাম জানাই তোদের মোরা অকুতোভয় স্বাস্থ্য কর্মী
সাথে আছ যারা মাঠ প্রশাসন, পুলিশ ও আর্মি।
সম্মান জানাই শিল্পপতি, ব্যবসায়ী যারা
দিচ্ছো তোমরা নিত্য পন্য মোনাফা ছাড়া
ঘৃনা ভরে করুনা করি, করছো যারা চাল চুরি
একটুও কি হয় না ভয় করোনায় যাও যদি মরি।
ঝুকি নিয়ে করছো কাজ ব্যাংকার ও সাংবাদিক
সালাম জানাই তোদের মোরা করোনা সৈনিক
তোমরা মোদের ভালবাসা স্হানীয় প্রতিনিধি
করছো তোমরা ত্রাণ বিতরণ, উপহার সামগ্রী।
প্রার্থনা করছি মোরা জনগন নিত্য দৈনিক
চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী হল করোনা সৈনিক।
করোনা হলে পরে হাসপাতাল কিংবা ঘরে
থাকবো মোরা আইসোলেশনে পাইতে পারি মাফ
আল্লাহ তুমি করে দাও করোনাকে দুনিয়া থেকে সাফ।
ভোরের পাখিরা যাচ্ছে কাজ করে
আমাদের পৃথিবী আজ কাল মেঘে ঢাকা
বাতাসে আজ করোনারা করছে নানান খেলা
ভুমি এখন ভাইরাসের দখলে,তাদের শক্তি সেরা।
ভোরের পাখিরা যাচ্ছে কাজ করে
মাঠ প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী সবাই মিলে
ডাক্তার ,নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের হাত ধরে।
কে আছ ঘুমায়ে জেগে উঠ সাহস ভরা মনে
যুদ্ধ চলছে যে মানুষের সাথে আজ অনুজীবে।
লড়াই এখন টিকে থাকার সব মানুষের
বেঁচে থাকার আকুতি আজ নব জীবনের।
বন্দি সবাই ঘরে বাহিরে, শীর্ন দেহ দীর্ন বুকে
সর্ব হারার দীর্ঘ শ্বাসে, স্বপ্ন পাশে মৃত্যু ভাসে।
এখন সময় নয়তো কোন আপোষ হওয়ার
সময় এখন রোগীদের করোনা থেকে মুক্ত করার।
যুদ্ধে জয়ী হবে সব স্বাস্থ্য কর্মী আর ডাক্তার
সময় এখন পিপিই নিয়ে দুঃসাহসে চলার।
বিভেদ মোদের ভুলতে হবে দুয়ার মোদের খোলতে হবে
মুক্ত আকাশ আনতে হবে অসম্ভবের গভীর থেকে।
খাদ্য দিয়ে বাঁচাতে হবে সাহস দিয়ে রুখতে হবে
করতে হবে জয়, সূর্য জ্যোতি জ্বালাতে হবে ।
ভোরের পাখিরা যাচ্ছে কাজ করে
ডাক্তার ,নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের হাত ধরে।
বৈশ্বিক মহামারী
“কোভিড ১৯ “রোগের নাম মহামারী
ভাইরাসের নামটা কি জানতে পারি?
ভাইরাসের নাম করোনা পরিবারের “সার্স কোভি-টু”
ল্যাটিন ভাষার করোনার বাংলা নাম মুকুট।
১২৫ ন্যানোমিটার সাইজ তার, খালি চোখে দেখা যায়?
না! সে তো এক মিটারের এক কোটিভাগের একভাগ প্রায়!
আচ্ছা মশাই, জানেন কি প্রথম সংক্রমণ কবে?
জি! এটা ১ ডিসেম্বর ২০১৯ উহান শহরে
৮ মার্চ ২০২০সালে প্রথম সংক্রমণ বাংলাদেশে।
এ রোগে প্রথম মানুষ কোথায় কবে মরে?
১৯ জানুয়ারী, ২০২০ সালে এক ব্যক্তি চীনে।
জনাব, এ রোগ হলে বুঝবো কেমন করে?
থাকে যদি শুকনো কাশি, জ্বর ও হাঁচি তবে
গলা ব্যথা, অবসাদ ও শ্বাস কষ্ট হলে
রক্তের শ্বেত কনিকা যদি যায় কমে
জানা যায় আরটি- পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে।
তাহলে এ রোগ থেকে বাঁচার উপায় কি বলুন?
কি আর বলার আছে চারটি উপায় ছাড়া!
এক কোয়ারেন্টিন যাকে বলা হয় সংগনিরোধ
দুই হল আইসোলেশন বাংলায় বলে অন্তরন
তিন হল লকডাউন যাকে বলা হয় অবরুদ্ধকরন
চার হল যে যেখানে আছি শুধু করি আল্লাহকে স্মরণ।
মহামারী,কোভিড ১৯।
(চল্লিশ বছর পর )
এইখানে তোর দাদার সমাধি কদম গাছের তলে
আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে কত যে মানুষ মরে!
তোর দাদা মানে আমার বাবা সেদিন গিয়েছিল চলে
কোভিড ১৯ রোগ ,তখন যাকে সবাই মহামারী বলে।
আমেরিকা কানাডা ইউরোপ দেয়নি কারেও ছাড়
হাজার হাজার মানুষ মরেছিল কি এক কারবার!
এসেছিল মহামারী চীনের উহান নগরী থেকে সেবার
ফাল্গুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত সবার মনখানি হতো ভার।
মুসল্লির সংখ্যা পাঁচজনের বেশি নয় নিয়ম ছিল মসজিদে
কাবা শরীফেও বন্ধ ছিল তাওয়াফ, ওমরাহ হজ্জ সবে
হাটবাজার খোলা ছিল পাঁচটার ভিতরে
গাড়ি ঘোড়া বাসা বাড়ি ছিল সব লকডাউনে।
হেস না হেস না তুমি পাগলা ছেলে মোর,মহামারী শোনে
আমিও বিশ্বাস করিনি একদিন তোর দাদার গল্পকথনে
বলতেন আমার বাবা, একবার নাকি কলেরা হয়ে
নিধন হয়েছিল শতশত মানুষ শহর গ্রামে।
আমিও হেসে বলেছিলাম তখন,ছিল নাকি ডায়রিয়ার টিকা
কলেরার এন্টিবায়োটিক, ছিলনা কি ওরস্যালাইন?
তোর দাদা মলিন বদনে বলতো নারে খোকা ছিলনা।
তুমিও আজ আমায় বলছো ছিল নাকি টিকা কোভিডের?
নারে ছেলে ছিলো না! ছিলোনা কোন উপায়,ছিলোনা ঔষধ
তাইতো চোখের সামনে গেছে কত প্রান, কত সোনা মুখ।
তারপর এই বাবা হারা জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি
কত কাফনের, শত কবরের অংক হ্রদয়ে আঁকি!
কত ডাক্তার কত নার্স কত স্বাস্থ্য কর্মী যে গেছে চলে!
তাকি আর এখন এসব হিসেব কেউ বলে।
এখন কত সহজ হয়েছে করোনার চিকিৎসা ও টিকা
কিভাবে বুঝবে সেদিনের বিপদ, সেদিনের বেদনার ক্ষণ?
যারা কোভিড মহামারীতে বাজিয়েছে নিজের মারন বীণ!
কিভাবে মোরা শোধিবো তাদের অমর জীবনের ঋণ।
শেষ বিকালে বাবার মিনতি
আমার অন্তিম শয়ানে বাধা দিওনা
তোমরা পাহারা দিওনা মোর কফিনটি
শেষ হবে আজ লাখো স্বপন ভরা জীবনটি।
গোসল দিবেনা কেউ মোর এই শরীরটি
স্পর্শ করবে না তোমরা মোর হাত
ঢালবে না তোমরা বরই পাতার জল!
মাতোম করবেনা,চোখ হবে না ছলছল।
আজ নগরীতে সীসে ভরা কালো ধোয়া নাই
নাই কোন ব্যস্ততা, নাই কোন ধূলিকণা!
সারা শহর ভরে আছে ভাইরাস করোনা।
তারা নিতে এসেছে আমাকে ওপারে
তাড়া দিচ্ছে বারবার, শ্বাস নেবার সময় দিচ্ছে না!
দিচ্ছে মৃত্যু যন্ত্রণার শেষ ছবকটুকু ভালভাবে।
ভেবেছিলাম অনেক টাকার মালিক হবো!
করবো সুখ ,তা আর হলো না দমে গেল উদ্যম
হৃদয়ে পৌঁছলো আমার গগনবিদারী ক্রন্দন।
করোনারা এসেছে আমায় নিতে, যেতে হবে বহুদুর!
আমি দাড়িয়ে আছি শেষবিকালে অগ্নিপরীক্ষায়
ক্ষমা করে দিও মোর ব্যস্ত জীবনের সবটুকু ভুল।
জানি,কাঁদবেনা, ধরবেনা, নামবে না মোর কবরে
করোনার ভয় তোদের করেছে যে নিষ্ঠুর!
কেহ মরে গর্ভে,কেউবা মরে শিশুতে!
কেহ মরে যুবাবয়সে কেউবা বৃদ্ধে, ঠিক নাই মৃত্যুর!
মিনতি বাবার সন্তানের কাছে যতদিন বাঁচো
মেনে চলো সব বিধিবিধান সেই সৃষ্টিকর্তা মহান প্রভুর।
আমার নামটি করোনা
আমার নামটি করোনা
ধরলে কিন্তু ছাড়ি না
তাকি সবাই জানো না?
সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর
সাথে যদি গলাব্যথা
বুঝে যাবে আছি সেথা।
শ্বাস কষ্ট হলে আর
বাঁচায় কে আর বলো তার?
বলি কি শোন বোকা!
আমায় থেকে বাঁচতে চাও?
নাকে মুখে মাস্ক নাও ।
হাত ধুইবে বারবার
বাইরে তুমি যাবে না আর
যদি তুমি যেতে চাও
কোয়ারেন্টিনে থেকে যাও।
প্রশ্ন করো তোমরা আমায়
এত শক্তি কোথায় পেলাম আমি?
সৃষ্টির সবার স্রষ্টা তো এক
তাকি আমরা ঠিকমতো মানি।
করোনা আমি, ক্ষুদ্র প্রানী!
ভয় কেন পাও এতো?
আল্লাহ মহান কত বিশাল!
তওবা করো তোমার গোনাহ যত।
করোনা তুমি
করোনা তুমি
উহান শহরের চীনাদের অভিশাপ
করোনা তুমি
ইতালীর, ইরানের হাজার লাশের খুনি
করোনা তুমি
আমেরিকা ,ইউরোপের পরাশক্তি সেনাদেরও বাপ।
করোনা তুমি
বাংলাদেশের শ্রমিক মজুরদের কষ্টের পাথর
করোনা তুমি
এদেশের চা বিক্রেতা, কৃষকের বুকে চাপা কান্না
করোনা তুমি
পৃথিবীর জুলুমবাজদের বুকে সৃষ্ট কাঁপন।
করোনা তুমি
ব্যস্ত মানুষদের ঘরে বন্দি করার শাসন
করোনা তুমি
শ্বাস কষ্ট, সর্দি কাশি, জ্বর আর গলা ব্যাথা
করোনা তুমি
মানুষের মুখে মাস্ক আর হাতে গ্লাভস
করোনা তুমি
অবসরে বাড়িতে বসে আমার কবিতার খাতা।
করোনা তুমি
রাত জেগে হাসপাতালে চিকিৎসকের সাথে লড়াই
করোনা তুমি
অদৃশ্য ছোট্ট প্রানী, আল্লাহর সৃষ্টি
করোনা তুমি
চলে যাও দুর আকাশে আমরা চাই প্রভুর করুনার দৃষ্টি।
লাশের দাম কিন্তু সমান স্বরুপ
প্রানের চেয়েও কি সম্পদ বড়!
কেন তাহলে চুরি করো?
যা আছে তোমার
সেটা কি খেয়ে যেতে পারো।
গার্মেন্টস খুলে করবে লাভ
হবে তোমার কোটি ব্যবসা!
সে আশায় দেখছো না লাশ
দেখছো শুধু সুখের অভিলাষ।
বলতে পারো মুল্য কার?
শ্রমিক লাশের ,নাকি মালিকের?
বলতে পারো মরবে আগে কে?
শ্রমিক নাকি মালিক?
যেই আগে পরে মরুক
লাশের দাম কিন্তু সমান স্বরূপ।
করোনা ভাইরাস চিনেনা ধনী গরীব
চিনেনা আমেরিকা ইউরোপ
যাকে পায় তাকে ধরে
কি হবে তাহলে চুরি করে?
মাঠে মাঠে লাশ হলে ভাই
চিনবো তোমায় কেমন করে?
আগেই তুমি মাফ করো ভাই
পার তুমি যেমন করে!
করোনা থেকে বাঁচতে চান
বের হইয়ো না জনগন।
আল্লাহ! তুমি মেহেরবান
ভিক্ষা দিইও মোদের জান।
মাফ করে দাও প্রভু আজ
সারা পৃথিবী আজ স্হবির!
কচ্ছপ আর ডলফিনের দখলে
সাগরের তীর।
কী এক অদৃশ্য করোনা!
ফাইভ স্টার হোটেল আজ চলেনা।
পার্কের প্রেম, পরকীয়ার বেহাল দশা!
সবার কপালে হাত, ধস নেমেছে ব্যবসা।
অন্যায় ,অবিচার ও অহংকার?
সে তো আজ বাসা বাড়িতে হাহাকার!
কোথায় তোমার পারমানবিক?
কোথায় তোমার ক্ষেপনাস্ত্র?
কোথায় তোমার সেনাপতি, সেনাদল?
করোনার কাছে তুমি মাথানত বাহুবল।
আল্লাহর আকাশ আজ সীসামুক্ত
বাতাসে ভেসে বেড়ায় প্রজাপতি।
দুর পাহাড়ের পাদদেশে
কার আকুতি শোনা যায়?
মাফ করে দাও প্রভু আজ
তুমি যে মোদের সৃষ্টি কর্তা
এক আল্লাহ সেটা কিন্তু বুঝা যায়।