জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত
আদিব রহমান
‘মুহূর্ত’ শব্দটার ভিতর এক অসাধারণ সৌন্দর্য, চৌকসতা দর্শনদীপ্তি ও রহস্য লুকিয়ে আছে। ‘মুহূর্ত’ সম্পর্কিত কোন উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস, বাংলা সাহিত্যে আছে বলে আমার জানা নেই। জানিনা কোনদিন কেউ এর রহস্যের মায়াজাল ভেদ করতে পারবে কিনা। তবে একটা চেষ্টা তো করাই যেতে পারে। দেখি না শব্দটার ভিতর একটা ডুব দিয়ে। একটা ছেলের কাছে জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত হয় যখন তার বাবা গর্ব-অহংকার করতে পারে ছেলের জন্য। তাই আমার বাবা যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যান তখন আশেপাশের লোকজন বলেন,” দেখো, আদিবের বাবা যাচ্ছে। “তখন বাবা নিজেকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ এবং সুখী মানুষ মনে করেন। আর এটা বাবার কাছ থেকে পাওয়া আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমালে মনে হয় আমি যেন পৃথিবীর জান্নাত বা স্বর্গে আছি। মায়ের কাছ থেকে পাওয়া এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। বড় ভাই যখন আমার সাফল্যে খুশি হয়ে চারদিকে বলে বেড়ায়,” সাফল্য তো পাবেই, কার ভাই দেখতে হবে না। “তখন মনে হয় ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম তখন একজন শিক্ষক আমার লেখা নিয়ে কত মানুষকে দেখাতো এবং বলতো,” দেখেন, আমার ছাত্রের লেখা। নিঃসন্দেহে গিনেজ বুকে নাম লেখার মত “,এটা শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। আসলে জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত অনেক থাকে। তবে একেকজন মানুষের কাছ থেকে তার প্রাপ্তি একেকরকম। তার জীবনেই শ্রেষ্ঠ মুহূর্তের সংখ্যা বেশি থাকে যে প্রতিটা সেকেন্ডকে উপভোগ করতে জানে। আমার মতে সেই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।