গোলাপের জীবন
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়আমি সেই চির দহনদাহ প্রিয় মানুষ
যে জন্ম থেকেই পূণ্যাত্মা সন্ন্যাসিনী
কাঁটার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত আহত অস্হির
তবু বড় ভালো আছি এই শোকেতে
মধ্য রাতে সবুজ হওয়া শরীর, তোমার সমারোহ
গোলাপের মতন জন্ম হয় আবার মৃত্যু ও
কবির শরীর গভীর উদাসীন ও সহজ
বুকের ভেতর কিছু পাথর কুপনো হয়
কিছু নদীকে বানানো হয় বন্দর
অম্লান গরীবের ঘর, অসীম অনন্ত অপচয় তন্ময় জুড়ে
অন্ধকারের ভেতর সম্ভাব্য আলোর মতন তুমি
ভোলোবাসায় খেয়ে নিয়েছি সবটা
স্বচ্ছ চিহ্ন রাখিনি কিছু
মধ্যবর্তী দুপুরের ছায়া অপরাহ্নে মেলায়
অনন্ত বাসরে কেঁপে ওঠে হাওয়া
আমার গোলাপের মতন জন্ম
আবার গোলাপের মতন মরে যাওয়া।