অবহেলার পরকথা
শিস খন্দকার
উপর্যুপরি অবহেলা আমাদের বৃক্ষ করে তোলে। আমরা তখন পা এবং শিরদাঁড়া নির্ভর হয়ে প্রকাণ্ডকায় দাঁড়িয়ে যাই। শুধুই দাঁড়িয়ে থাকা। সূর্যের দোর্দণ্ডপ্রতাপ—আমরা দাঁড়িয়ে থাকি। আষাঢ়ের ভারি বর্ষণ—আমরা দাঁড়িয়ে থাকি। তীব্র শীতে হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা—আমরা দাঁড়িয়ে থাকি। এভাবে অবহেলায় বৃক্ষ হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আমরা শতাব্দীর পর শতাব্দী যাপন করে চলি—বিষাদসিন্ধু। এরই মাঝে আমরা শরীরজুড়ে আবিষ্কার করে ফেলি : কাকেদের কদর্য পদচিহ্ন, উঠতি কিশোরদের নিত্য ক্রিকেটীয় আঘাত, পাতাকুড়ানির সবুজ লোভ, তরুণীর হেলানো ফটোসেশন…।
এরূপ বৃক্ষ হয়ে নিদারুণ অবহেলায়, সমূহ অনুভূতি পাশ কাটিয়ে আমরা দাঁড়িয়েই থাকি ঠায়। পরাগযোগে যেটুকু ফল—কেবলই ‘বিষাদ’ হতে ‘বিস্বাদ’!